হুসাইন মুহাম্মাদ

হুসাইন মুহাম্মাদ এর সাংবাদিকতার পেশায় প্রবেশের গল্প
১৪৪৩ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দুপুর ২টায় পিতার সাথে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা। লক্ষ্য পিতা করবে তার খালার সাথে দেখা এবং আমি করবো আমার ছোট দাদুর সাথে দেখা। যেহেতু আমরা দুপুর ২ টায় যাত্রা শুরু করছি নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে, সেহেতু আমাদের নিশ্চয়ই জানা যে, আমার দাদু আমাদেরকে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া তার সাথে না করে আসতে দিবে না। তাই দুপুরের খাবার না খেয়েই বাসা থেকে সেই যাত্রা শুরু করলাম।
দুপুর পৌনে তিনটার দিকে পৌঁছে গেলাম দাদুর বাসায়। ঈদের দিন আর এমনিতেই সময়টি দুপুরের সময় সময় রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। তাই মাত্র ৪৫ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর বাজার থেকে নারায়ণগঞ্জের জেলার সদর উপজেলার পাগলা বাজারের নন্দলাপুর এলাকায়। গিয়ে দাদুর সাথে দেখা সাক্ষাতের পরে আমি জানতে পারলাম, ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কের একটি রাইড থেকে ছিটকে পড়ে কিশোর নিহত হয়েছে। তার সাথে এটাও জানতে পারলাম যে, এই নিউজটি কভার করতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কে এসেছে সময় টিভির তৎকালীন প্রতিবেদক সাদাত রহমাতুল্লাহ ভাই।
সাথে সাথে আর কোন কথাবার্তা না বলেই বাবাকে রেখে চলে আসলাম রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর বাজার এলাকায়। এসে ইকোপার্ক প্রাঙ্গণে ছুটে চললাম, শ্যামপুর বাজারের সামনেই দেখতে পেলাম সময় টিভির গাড়ি। গাড়িতে একজন লোক বসা ছিলো, তাকে জিজ্ঞেস করলাম সাদাত রহমাতুল্লাহ ভাই কোথায়? তিনি উত্তরে বললেন, আমি বলতে পারি না তিনি হয়তো ভেতরে আছে?
আমার মনে কেমন যেন একটি খটকা লেগে গেল যে, আজ-ও কি আমি সাদাত রাহমাতুল্লাহ ভাইয়ের সাথে দেখা করতে পারবো না? মন খারাপ করে বাসায় চলে আসলাম, তখন ঘড়ির কাটায় সময় ৪টা ৫৫ মিনিট। কিছু খাবার নিয়ে টিভি ছেড়ে ড্রয়িং রুমে বসলাম খাবার খাওয়ার জন্য। বিকাল ৫টার সময় সংবাদে দেখতে পেলাম, ইকোপার্ক প্রাঙ্গণ থেকে সাদাত রাহমাতুল্লাহ ভাই লাইভ করছে! আমি আমি মাত্র দুটো ভাত মুখে দিয়েছিলাম। কিন্তু সাথে সাথে হাত ধুয়ে আবারো ছুটে চললাম ইকোপার্কের উদ্দেশ্যে।
অবশেষে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দেখা পেলাম প্রিয় সাদাত রহমতুল্লাহ ভাইয়ের! অনেকটা আনন্দ নিয়েই তার সাথে দেখা সাক্ষাৎ শেষে তিনি আমাকে ঈদের সালামি দিলেন। এরপর তিনি গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন অফিসের উদ্দেশ্যে। তখন ঘড়ির কাটায় সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। আমিও আমার বাসায় চলে আসলাম। সেই থেকে মনের মধ্যে সাংবাদিকতা করার ইচ্ছে জাগ্রত হলো! কিন্তু তখনও পর্যন্ত আমি সাংবাদিকতার কিছুই বুঝিনা।
অনেকের সাথে আলাপ-আলোচনার পরে ১লা জুন থেকে শুরু হয় আমার ‘সাংবাদিকতার’ জীবন! একটি ছোট্ট অনলাইন টেলিভিশন স্পিস বাংলা টেলিভিশনের মাধ্যমে শুরু করি লেখালেখি এবং প্রতিবেদন করা। তার-ই ধারাবাহিকতায় চালিয়ে যাচ্ছি আজ অব্দি!
প্রিয়জানালায় হুসাইন মুহাম্মাদ এর লেখাসমূহ-
১) ঘুর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে কক্সবাজার উপকূলে
২) ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে যানজট নিয়মিত চিত্র
৩) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি
৪) কিছুক্ষণের মধ্যেই উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’