হাড় কাঁপানো শীতে সুস্থ থাকার ১০ টি অব্যর্থ টিপস!
চলছে হাড় কাঁপানো শীত! শীতের দাপটে বিঘ্নিত স্বাভাবিক জীবন-যাপন। কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। এই কনকনে শীতেই প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে আমাদের !
বাইরের আবহাওয়া বদলানো না গেলেও শীতের কষ্ট কমিয়ে আনার জন্য আজ থাকছে কিছু অব্যর্থ টিপস! এই শীতে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবারই কাজে আসবে টিপসগুলো!
১. শীতের গরম কাপড়ের সাথে অবশ্যই কানঢাকা টুপি এবং মোজা পরুন। কান এবং পা ঢাকা থাকলে শীত কম লাগে।
২. কুসুম গরম পানিতে রোজ গোসল করুন। একেবারে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। হুট করে ঠান্ডা পানি গায়ে ঢাললে স্ট্রোক হতে পারে। তাই সাবধান থাকুন।
৩. ঘুমানোর আগে গরম পাতিলে বা আয়রনে কাপড় চেপে রোজ হাত পায়ে সেক দিন। এতে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা বন্ধ হবে।
৪. লেপ, কম্বল এবং গরম কাপড় সম্ভব হলে রোদে দিন। এতে শীত কম লাগবে।
৫. শীতে তেলেভাজা বা মশলাদার খাবার খেতে পারেন। এতে শরীর গরম থাকবে। সেইসাথে দিনে ২-৩ বার চা-কফি, এবং গরম পানিতে শরবত খেতে পারেন।
৬. সকালে শীতের মধ্যে যাদের উঠতে কষ্ট হয় তারা সুতির মোজা এবং পাতলা সুতির চাদর গায়ে পেঁচিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে করে লেপের ওম থেকে উঠতে কষ্ট বেশি কষ্ট হবেনা।
৭. বাচ্চা এবং বৃদ্ধরা গোসলের আগে শীতের হালকা রোদে বসে অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল হাতে পায়ে এবং গায়ে মালিশ করলে শীত কম লাগবে।
৮. বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। শীতের ভয়ে পানি কম খাওয়া যাবে না।
৯. ঘুমানোর আগে গরম দুধে হলুদ অথবা মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীর গরম থাকবে সেই সাথে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি ভালো হবে।
১০. চায়ের সাথে অথবা খাবারে আদা রাখুন। আদা শরীর গরম রাখে এবং প্রতিষেধক ও বটে।
আবহাওয়া বদলানো সম্ভব না হলেও নিজেদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের কোন বিকল্প নেই। শীতে সুস্থ থাকতে উপরিউক্ত টিপসগুলো অবশ্যই অনুসরণ করুন। সুস্থ থাকুন।