priyojanala blogUncategorized
Trending

ফলের রাজা আমের সাতকাহন!

ফলের রাজা আমের সাতকাহন! কোথায় ফলন ভালো, কোন আম কখন বাজারে?

জাতীয় ফল কাঠাল হলেও ফলের রাজা আম! আমের স্বাদে গন্ধে পাগল সবাই।

আম পছন্দ করেন না, এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। পাকা মিষ্টি আমের সাথে তুলনা চলে না অন্য কোন ফলের। তাই তো ফলের রাজা আম।আম্রপালি, হিমসাগর সবুজ হয়, আবার ফজলি, গোপালভোগ হলুদ ও লালচে। আমের রুপেও সে ফলের রাজা। আম এত পছন্দ করি সবাই, কিন্তু কোন আম কখন বাজারে পাওয়া যায়, এটা অনেকেই জানিনা।
চলুন জেনে নেই কোন আম কখন বাজারে পাওয়া যায়।

ফলের রাজা আমের সাতকাহন!
ফলের রাজা আম

কোন আম কখন বাজারেঃ-

গুটি আমঃ– মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে আসে।
গোপালভোগঃ-গোপালভোগ সাধারণত হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। জুনের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসে।

খিরসাপাত অথবা হিমসাগরঃ-হিমসাগর সবুজ এবং কিছু আম বোটার কাছে হালকা হলুদ ছোপের হয়। খিরসাপাত ও হিমসাগর জুনের ২য় সপ্তাহে বাজারে আসে।

বোম্বাই, খিরসাপাত, ল্যাংড়া ও লক্ষনভোগঃ– খিরসাপাত আম খুবই মিষ্টি হয়। বোম্বাই, খিরসাপাত, ল্যাংড়া ও লক্ষনভোগ জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বাজারে আসে।

আম্রপালিঃ– গাঢ় সবুজ এবং লম্বা আকৃতির আম আম্রপালি, জুনের শেষ সপ্তাহে বাজারে আসে।

সুরমা ও ফজলিঃ– ফজলি আম দেখতে হলুদ এবং লম্বা আকৃতির হয়। বাজারে আসে একটু দেরীতে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসে।

আশ্বিনা, বারি ৪ ও মোহনভোগঃ– জুলাইয়ের ২য় সপ্তাহে বাজারে আসে।

গৌরমতি, ইলামতি ও ক্যাটিমনঃ- আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসে।

মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাবী জাতের আম। এ বছর এই জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৪ লাখ টন আম বাজারজাতকরন করা হবে। যার বাজারমূল্য ২৪০০ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭০০ কোটি টাকা বেশী আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আয়ের পরিমান লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

কোন জেলায় কোন আম উৎপন্ন হয়ঃ-

সব জেলায় সব জাতের আম ভালো উৎপাদন হয়না। একেক জেলায় একেক আমের উৎপাদন ভালো হয়। চলুন জেনে নেই কোন জেলায় কোন আমের ফলন ভালো।

#সূর্যপুরী আম ভালো উৎপন্ন হয়- ঠাকুরগাও জেলায়।

#হিমসাগর আম ভালো উৎপন্ন হয় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ও সাতক্ষীরা জেলায়।

#হাড়িভাঙা আম ভালো উৎপন্ন হয় রঙপুর জেলায়।

#গুটি/রাজভোগ ভালো হয়
রাজশাহী জেলায়।

#গৌরমতী আম ভালো উৎপন্ন হয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

# লক্ষনভোগ আম ভালো উৎপন্ন হয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী জেলায়।

# ল্যাংড়া আম উৎপন্ন হয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগঁা, সাতক্ষীরা জেলায়।

# মোহনভোগ আম ভালো হয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর জেলায়।

# রানীপছন্দ আমের উৎপাদন ভালো হয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায়।

#গোবিন্দভোগ উৎপাদন হয় সাতক্ষীরা জেলায়।

#বোম্বাই আম উৎপাদন হয়- মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

#ফজলি আম উৎপাদনে সেরা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগঁা, সাতক্ষীরা, নাটোর ও দিনাজপুর জেলা।

#গোপালভোগ- সবার পছন্দের গোপালভোগ উৎপাদন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগঁা, সাতক্ষীরা, নাটোর, দিনাজপুর জেলায়।

#খিরসাপাত- মিষ্টিমধুর খিরসাপাতের ফলন বেশী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগঁা, সাতক্ষীরা, নাটোর, দিনাজপুর জেলায়।

ফলের রাজা আমের সাতকাহন!
খিরসাপাত

#আম্রপালি

নতুন জাতের আম্রপালি, দামেও কম আর খেতেও ভীষণ মিষ্টি। মজার এই আমের ফলন সব জেলাতেই হয়। তবে বিশেষ করে নওগাঁ জেলায় আম্রপালির ফলন অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশী।

আমের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ঃ-

বর্তমানে বাজার সয়লাব হয়ে গিয়েছে গুটি আম, হিমসাগর,গোপালভোগ ও রানীপছন্দ আমে। এরমধ্যে হিমসাগর ৪৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গুটি আম ৫০ টাকা। গোপালভোগ ও রানীপছন্দ ৬০-৮০ টাকা কেজী বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আমের ফলন ভালো আগের বছরের চেয়ে ভালো। গাছে তাড়াতাড়ি মুকুল আসায় বাজারে আম উঠেছে তাড়াতাড়ি। চড়া দামের বাজারে আমের দাম তুলনামূলক কম। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের হাতের নাগালেই রয়েছে আমের দাম। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে আমের রাজধানী চাপাইনবাবগঞ্জের নাবী জাতের আম। এ বছর এই জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৪ লাখ টন আম বাজারজাতকরন করা হবে। যার বাজারমূল্য ২৪০০ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭০০ কোটি টাকা বেশী আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আয়ের পরিমান লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাই আম শুধু আমাদের পুষ্টি যোগানো আর মন ভরানোর কাজই করবে না। দেশের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করে তুলবে।

ঘরপণ্য থেকে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির আম কিনুন সরাসরি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান থেকে ।

 

Back to top button