priyojanala blog
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচের সব কিছু Mashrafe Bin Mortaza
আজকের ম্যাচ ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার ২২০ তম ওয়ানডে ম্যাচ যার মধ্যে ৮৮টি ওয়ানডেতে অধিনায়ক ছিলেন যেখানে জয়ের সংখ্যা ৫০!
২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবিষেক হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার।
২২০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২৭০ টি বেস্টঃ ৬-২৬; রান করেছেন ১৭২৭ যেখানে রয়েছে একটি হাফ সেঞ্চুরি (৫১*)ও মোট ৬২ টি ছয়!
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই, হাঁটুর ব্যাথা নিয়ে নিয়মিত খেলে গেছেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট, বিপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেট। বিপিএল ক্রিকেটেও একাধিকবার সফলতা লাভ করেছেন।
২০১০ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেও হাঁটুর চোটের কারণে দলের বাইরে থাকেন। ২০১৮ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব ফিরে পেয়ে যথেষ্ট সফলতা লাভ করেন।
মাশরাফি বিন মর্তুজা শেষ বারের মত টস করতে নামেন ও টস হেরে ব্যাটিং পান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস করেন ২৯২ রানের রেকর্ড গড়া পার্টনারশীপ যেখানে বৃষ্টি নেমেও তাদের অনাবদ্য খেলায় বাঁধা হতে পারেনি। চলমান জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজে তামিম ইকবাল ৩ ম্যাচে খেলেছেন ২৮৮ বল, করেছেন দুটি সেঞ্চুরিসহ ৩১০ রান। প্রথম ম্যাচে ৪৩ বলে ২৪ রান, ২য় ম্যাচে ১৩৬ বলে ১৫৮ রান এবং আজকের ম্যাচে ১০৯ বলে ১২৮ করেন তিনি। অন্যদিকে আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস ৩ ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরিসহ ২৫৮ বল খেলে করেছেন ৩১১ রান। প্রথম ম্যাচে ১০৫ বলে ১২৬ রান, ২য় ম্যাচে ১০ বলে ৯ রান এবং আজকের ম্যাচে মাত্র ১৪৩ বলে করেছেন রেকর্ড ভাঙ্গা ১৭৬ রান (২৪ চার ও ৮ ছয়)। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তামিমের করা ১৫৪ রান ছিল গত ১১ বছর ধরে ওয়ানডেতে কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড, যা এই সিরিজেই ভেঙ্গে তামিম করেছিলেন ১৫৮ রান। তামিমের রেকর্ডটি টিকলো না দুদিনও, লিটন আজ ১৭৬ রান করে কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নতুন করে গড়লেন। ওপেনিং-এ তাদের আজকের জুটিটা ছিল ২৯২ রানের, যা বাংলাদেশের পক্ষে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যাপ্টেন হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে চমৎকার এই উপহারটির জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
স্কোরবোর্ডঃ
বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩)
লিটন দাস ১৭৬(১৪৩)
তামিম ইকবাল ১২৮(১০৯)
কার্ল মুম্বা ৬৯/৩
বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ৩৪২ রান
জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩)
সিকান্দার রাজা ৬১
উইসলে ৪২
সাইফউদ্দিন ৪১/৪
মাশরাফি ৪৭/১
আফিফ ১২/১
মোস্তাফিজ ২৯/১
তাইজুল ২৭/১
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল)
সিরিজ রেকর্ডঃ
সর্বোচ্চ রান
১) লিটন দাস – ৩১১ রান, ২ সেঞ্চুরি,১০ ছয়, ৩১ চার,১৭৬ বেস্ট।
২) তামিম ইকবাল- ৩১০ রান, ২ সেঞ্চুরি, ৯ ছয়, ২৯ চার, ১৫৮ বেস্ট।
৩) সিকান্দার রাজা- ১৪৫ রান, ২ হাফ-সেঞ্চুরি, ৪ ছয়, ১২ চার, ৬৬ বেস্ট।
সর্বোচ্চ উইকেট
১)সাইফউদ্দিন – ৭ উইকেট
২)তাইজুল – ৬ উইকেট
১)চার্ল মুম্বা – ৬ উইকেট
সিরিজে যত রেকর্ডঃ
১) তামিমের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭০০০+ রান।
২) তামিমের এক ম্যাচে ১৫৮ রান যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের মধ্যে ২য়।
৩) লিটনের ১৭৬ রান যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের মধ্যে ১ম।
৪) মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে জয়ের হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।
৫) শেষ ম্যাচে অবিষেক হয়েছে নাইম শেখ ও আফিফ হোসেনের।
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তামিম ও লিটন দাস ২টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটা এর আগে একবার হয়েছিল। এর আগে ২০১০ সাল একই সিরিজে ২টা করে সেঞ্চুরি করেন হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।
বাংলাদেশের ৩য় ৩০০ রান
জিম্বাবুয়ে সিরিজের ৩য় ম্যাচে মাত্র ৪৩ ওভারে ৩২২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এটা নিয়ে টানা ৩ ম্যাচেই ৩০০+ রান তুলেছে বাংলাদেশ দল। একদিনের ক্রিকেটে মোট ২১ বার ৩ ম্যাচ সিরিজের সবকটি ম্যাচে ৩০০+ করার রেকর্ড আছে কোনো দলের। এই ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবেশ করল ১০ম দল হিসাবে।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ৫ম অধিনায়ক হিসাবে ১০০ ওয়ানডে উইকেট নেবার রেকর্ড গড়েছিলেন মাশরাফি। যে তালিকায় মাশরাফি ছাড়া ছিল ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, শন পোলক ও জেসন হোল্ডার। তবে আজ ২ উইকেট নিয়ে জেসন হোল্ডারকে টপকে গেলেন মাশরাফি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জয়ের সুবাদে প্রথম বাংলাদেশী অধিনায়ক হিসাবে ৫০ তম ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড গড়েছেন মাশরাফি। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ টি ম্যাচ জিতেছিল হাবিবুল বাশার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করার মাধ্যমে ১৩ বারের মত হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ দল।
Liton Das & Tamim Iqbal Record |