Aria Ahmed Momehealthtipspriyojanala blogtips

ডিপ্রেশন ও ডায়েট : কোন খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত।

 বর্তমান যুগের ভীষণ ব্যস্ত জীবনযাপনে খুব পরিচিত একটি শব্দ ডিপ্রেশন। ডাক্তারি পরিভাষায় বলা যেতে পারে বিষাদগ্রস্ততা বা বিষণ্ণতা বা অবসাদ। কেতাবি অর্থ যাই হোক না কেন, খুব কম মানুষই আছেন যাকে একবার হলেও এর মুখোমুখি হতে হয়নি। ডিপ্রেশনের চিকিৎসা বলতে শুধুমাত্র মনোচিকিৎসকদের সাথে বৈঠক কিংবা নানান পদের এন্টিডিপ্রেসেন্ট নয়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বেশ কিছু বদল আনাও জরুরি। আর এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ খাবার। যদিও এমন কোন সুপারফুড নেই যা রাতারাতি জাদুর মত দূর করে দেবে যত অবসাদ ও মানসিক ক্লান্তি।রোজকার ডায়েটে কিছু বিশেষ খাবার যোগ করার মাধ্যমে অবসাদের উপসর্গ কমিয়ে আনা সম্ভব। নিচে রইল তেমন কিছু খাবার সম্পর্কে বিশদ আলোচনা।

ডিপ্রেশন ও ডায়েট : কোন খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত।
What foods are good for helping depression?

১| মাছ    মাছে ভাতে বাঙালির দৈনন্দিন খাবার তালিকায় আর কিছু থাকুক আর নাই থাকুক, মাছ থাকা আবশ্যিক। গবেষণা বলছে যে মাছে,বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা – ৩ ফ্যাট,যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা বেশি পরিমাণে ওমেগা – ৩ যুক্ত মাছ খেয়ে থাকেন তাদের মাঝে ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো তুলনামূলক কম।

 

 

২| শিম,বাদাম ও অন্যান্য বীজ – বাদাম ও অন্যান্য বীজ মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, চিনেবাদাম ও আখরোট – প্রত্যেকটিই খেতে সুস্বাদু এবং ওমেগা- ৩ ও উদ্ভিজ্জ আমিষের উৎস।এছাড়াও শিমবীজে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবারও আমিষ,যা রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডিপ্রেশনের চিকিৎসার সহজ অংশ হিসেবে ডায়েটে রাখা যেতে পারে তিসির বীজ,চিয়া সীডস ও কুমড়োর বীচি।

 

 

 

৩| মুরগীর মাংস ও ডিম– মুরগীর মাংস শুধু প্রোটিনের আদর্শ উৎস নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফ্যান,যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। সেরোটোনিন হচ্ছে অন্যতম হরমোন যা মানব মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভূতি জাগায়, এজন্য এটি হ্যাপি হরমোন নামেও পরিচিত। নিয়মিত মুরগীর মাংস গ্রহণ নিঃসন্দেহে অবসাদের সাথে লড়াইয়ে সহায়ক। শুধু মাংস নয়,ডিমও ওমেগা – ৩ এর ভালো উৎস। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকুক ডিমও।

 

 

 

৪| শাকসবজি – শাকসবজি খাওয়া ছোট বড় নির্বিশেষে সবার জন্যই দরকারী। আর যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন তাদের জন্য প্রতিদিনের খাবারে সবজি থাকা প্রয়োজন। সবুজ পাতাওয়ালা শাক যেমন পালংশাক, পুঁইশাক,কচুশাক,বিভিন্নরকম সবজি,হলুদ, আদা,দারুচিনি – এসব কিছুই রাখা যেতে পারে রোজকার খাবারে।

 

 

 

৫| দুগ্ধজাত খাবার – দুধ ও দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাবার যেমন দই,পনির,ছানা ইত্যাদি অবসাদের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে। এসব খাবারে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো শুধুমাত্র হাড়ের জন্য নয়,মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও কার্যকর।

 

 

 

একটা প্রবাদ রয়েছে – আমরা তাই,যা আমরা খাই। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে যেসব খাবার আমরা রোজ খেয়ে থাকি তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক দুই অবস্থাকেই প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্যকর খাবার সার্বিকভাবে শরীরের জন্য উপকারী যা প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতায়। সুতরাং খাদ্যাভাডে ছোট কিছু পরিবর্তন সহায়ক হতে পারে অবসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

 লিখেছেন- Aria Ahmed Mome 

 ক্রিকেট, ফুটবল, বাংলা সংবাদ, হেলথ টিপস, টেকনোলোজি টিপস, বাংলা ব্লগ, বিভিন্ন তথ্যমূলক প্রতিবেদন, পড়াশুনা সহ  নতুন সিনেমা/নাটক/ওয়েব সিরিজ সংবাদ/ বাংলা রিভিউ/গল্প ব্যাখ্যা/বাংলা সাবটাইটেল পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজের সাথে থাকুন-

 

প্রিয়জানালা ফেইবুক পেইজ  – ক্লিক করে লাইক দিন!

Back to top button