Coronaviruspriyojanala blogtips

বাড়িতে করোনা রোগীর যত্ন নিতে হলে কী ভাবে চলা ভাল?

 করোনার ঘরে সাবধান – করোনা আক্রান্তের দেখাশোনা হোক বিধি মেনে।

হালকা COVID লক্ষণগুলির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিত্সা করা যায়। একবার আপনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি লক্ষ্য করলে, আপনার সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত এবং  COVID লক্ষণগুলি অদৃশ্য না হওয়া  পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য নিজেকে পরিবারের অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে।  

বাড়িতে করোনা রোগীর যত্ন নিতে হলে কী ভাবে চলা ভাল?


রোগীর যত্ন নিতে হলে কী ভাবে চলা ভাল?

বাড়িতে করোনা আক্রান্তের দেখাশোনা করছেন, সাবধানে থাকতে হবে। হাসপাতালে শয্যা সঙ্কটে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিজেদের দেখভাল করতে হবে পরিবারকেই। যাতে পরিবারের একজনের থেকে আক্রান্ত না হয়ে পরে বাকিরা সেদিকটা খেয়াল নিতে হবে কঠোর ভাবে।

মাস্ক ও হাতের যত্নঃ

      রোগীর সামনে গেলে অন্তত তিনটি মাস্ক পরুন।

      মাস্কের সামনের দিকে হাত দিবেন না।

      রোগীর ঘর থেকে বেরিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুইয়ে নিন।

      হাত ধোয়ার পরে মাস্ক খুলুন।  

      মাস্ক খুলে হাতে স্যানিটাইজার দিন। 

রোগীর সংগে দূরত্ব

      রোগীর গায়ে হাত দিলে গ্লাভস পরতে হবে।

      রোগীর মুখে বা নাকে হাত দেবেন না।

      রোগীর ব্যবহৃত বাসন থেকে তোয়ালে সব কিছু আলাদা রাখুন।

      ঘর থেকে বেরিয়ে গ্লাভস বাতিল করুন নিয়ম মেনে।

      চোখে মুখে ছোঁয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করুন।

খাওয়ার নিয়ম

      রোগীর সামনে বসে খাওয়াদাওয়া নয়।

      রোগীর খাবার তাঁর ঘরে দিতে হবে।

      রোগীর ব্যবহার করা বাসন মাজতে হবে গ্লাভস  পরে।

      সেই গ্লাভস ছেড়ে, তবে অন্য বাসনে হাত দিতে হবে।

      রোগীর ব্যবহৃত বাসনে হাত দিলেও যেন মাস্ক মুখে থাকে।

সাবধানতা

      ব্যবহৃত গ্লাভস ও মাস্ক জীবাণুমুক্ত ব্যাগে ভরে রাখতে হবে।

  

বাড়িতে করোনা রোগীর যত্ন নিতে হলে কী ভাবে চলা ভাল?

মনে রাখবেন। নিজে সুস্থ থাকলে তবেই বাড়ির বাকিদের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

আপনার বা পরিবারের সদস্যদের  সংক্রমণ চলাকালীন হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, রুগীকে অবশ্যই এই সময়ে ভাল বিশ্রাম নিতে হবে।

তবে ডাক্তারের অনুমোদন ব্যতীত কোনও ওষুধ খাওয়াবেন না বা খাবেন না,  চিকিত্সকের পরামর্শ নিন এবং আতঙ্কিত হবেন না।

এই জরুরি লক্ষণগুলির জন্য নজর রাখা উচিত।

– শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে

– অবিরাম বুকে ব্যথা

– মানসিক বিভ্রান্তি

– নীল ঠোঁট

– জেগে থাকার অক্ষমতা

যদি বাসায় চিকিৎসার পরেও আপনার অথবা পরিবারের সদস্যদের কভিড লক্ষণগুলি ক্রমাগত খারাপের দিকে যায় তখন অবশ্যই জরুরী  চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।  

 আমাদের ফেইসবুক পেইজের সাথে থাকুন- 

PRIYOJANALA 

 

Back to top button