amazing factspriyojanala blogworld

কানাডা সম্পর্কে অজানা তথ্য

 প্রিয়জানালার দেশ পরিচিতির ধারাবাহিক আয়োজনের প্রথম পর্বে থাকছে কানাডা সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য। 

প্রিয়জানালা দেশ পরিচিতি পর্ব ০১ 

 

মহাদেশঃউত্তর আমেরিকা

 

দেশঃকানাডা

 

মোট অঞ্চলঃ ৩,৮৫৫,১০৩ বর্গ মাইল (৯,৯৮৪,৬৭০ বর্গ কি.মি.)

 

জনসংখ্যাঃ৩৯.৫৯ মিলিয়ন(২০১৯)

 

রাজধানীঃ ওট্টোয়া

 

ভাষাঃইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, আরও (+৭)

 

মুদ্রাঃকানাডীয় ডলার।

 

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ কানাডা। যেখানে বেশির ভাগ অঞ্চল জুড়ে আছে বরফ, কিছু অংশে পাহাড়, বিস্তির্ণ বন আবার কোথাও সমতল সবুজ ভূমি। এইদেশটিতে পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ থেকে রয়েছে সবচেয়ে বেশি হ্রদ (Lake)। এমনকি এদের রয়েছে সর্ববৃহৎ তটরেখা (Coastline)। কানাডা দেশটি ১০টি প্রদেশে (Province) এবং ৩টি অঞ্চলে (Territory) বিভক্ত।

কানাডা সম্পর্কে অজানা তথ্য

 

বীবর(Beaver)

 

কানাডা প্রায় প্রতিটি হ্রদে, ঝিলে সাতরে বেড়ানো ধারালো দাত এবং লোম দিয়ে পুরো শরীর ঢাকা এই প্রানিটি হলো কানাডার জাতীয় পশু। এদের মুদ্রার মধ্যেও দেখা যায়।

https://en.wikipedia.org/wiki/Beaver#/media/File:American_Beaver.jpg
Image Source

 

ইয়াকুন (Yakun)

 

৩টি অঞ্চলের (Territory) মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং কম জনসংখ্যাবহুল স্থান যেখানে রয়েছে অপরিবর্তিত থাকা হিমবাহ পাহাড়।

 

টোটেম পোল (Totem Pole)

 

কানাডা তাদের হাতের কারুকার্যে তৈরি টোটেম পোলের জন্য বিখ্যাত। এই পোলটি তাদের প্রথম উপজাতি“kwakwaka wakw” নিদর্শন এবং স্মৃতি বহন করে।

 

উত্তর আমেরিকান এল্ক (Deer)

 

হরিণ প্রজাতির মধ্যে এই এল্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রজাতি। এরা বনে জঙ্গলে এক বিশাল কলোনির মত বাস করে।  উত্তর আমেরিকাতেই প্রায় ১০ লক্ষ এল্ক বসবাস করে।

 

ম্যাপেল পাতা (Maple Leaf)

 

ম্যাপেল গাছ গোটা কানাডা জুড়েই জন্মায়, তাই বোধহয় এই পাতাটির প্রতীক জাতীয় পতকায় শোভা পেয়েছে। দেশটি পৃথিবীর প্রায় ৭৫% ম্যাপাল সিরাপ তৈরি করে গাছটির রস দিয়ে। এই রসটিকে দিয়ে বিয়ার, কফি এমনকি নারিকেলের পানির বিকল্প হিসেবে খাওয়া হয়।

 

আইস হকি (Ice hocky)

 

কানাডার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলো এটি। অলেম্পিকে এখন পর্যন্ত দেশটি জিতেছে ২০টি মেডাল, যার মধ্যে ১৩টি স্বর্ণের ছিলো।

 

ইনইউট জাতি (Inuit People)

 

এই জাতিসত্তারা উত্তর কানাডার অধিবাসী। নিজেদেরকে তারা হিমবাহের মাঝে খাপখাইয়ে নিয়েছেন। তারা বরফে চলার জন্য এক ধরনের গাড়ি(Sled)ব্যবহার করেন, যা কওয়ামুটিক (Qamutik)নামে পরিচিত।

 

Valley of the Ten Peaks.

 

কানাডার আলবার্টা প্রদেশে মোড়াইন লেকের ওপারে দশটি পর্বতশৃঙ্গ মিনার এবং একেই বলা হয়

 

ন্যাঅ্যাগ্যারা জলপ্রপাত (Niagara Falls)

 

কানাডা এবং ইউনাইটেড স্টেটস বর্ডারে তিন ঝর্ণার মিলনকেন্দ্রে প্রায় ৫১ মিটার উচু এক রহস্যময় স্থান ন্যাঅ্যাগ্যারা জলপ্রপাত। প্রতিবছর পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৩ কোটি পর্যটক ভীর জমায় এই পর্যটন কেন্দ্রে।

https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/a/ab/3Falls_Niagara.jpg
Image Source

 

পৌটিন (Poutine)

 

এটি একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই যা প্রথম দিকে কিউবেক প্রদেশে পাওয়া যেত। তবে এর জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে এখন তা পুরো কানাডায় খুজে পাওয়া যায়। ফ্রেঞ্চ ফ্রায়ের উপর পনির এবং ঝোল এর স্বাদকে এক অনন্যতা দান করে।

 

টোরানটো টাওয়ার (Toranto Tower)

 

অনটারিও, দেশের সবচেয়ে বড় হ্রদ এবং তার তীরে দেশটির সবচেয়ে উচু বিল্ডিং হলো টোরানটো টাওয়ার।

 

ভূগোলঃদেশের এক-তৃতীয়াংশ বরফে ঢাকা, উত্তরে আছে পাহাড়, সমতল ভূমি, বন এবং হ্রদ।

 

সংস্কৃতঃশীতল জলবায়ু থাকা সত্ত্বেও কানাডা বাসীরা হাইকিং এবং আউটডোর খেলাতে বেশ উৎসুক।

 

প্রাকৃতিক বিস্ময়ঃ শ্বাসরুদ্ধকর পাহাড় থেকে শুরু করে নাটকীয় ন্যায়াগ্যারা জলপ্রপাত, কানাডার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে একটা চমকপ্রদ দৃশ্য।

 

বন্যজীবনঃকানাডা হচ্ছে একই সাথে তুষারে ভাল্লুক এবং বনের ভাল্লুকের বাসস্থান। এছাড়াও সিল, নেকড়ে, হরিণ এবং তিমিও অনেক পাওয়া যায় এখানে।

 

খাদ্যঃবেশির ভাগ কানাডিয়ান অধিবাসীরা পশ্চিমা খাদ্য যেমন গোস্ত, মুরগি, মাছ, গম জাতীয় খাবার এবং শাক-সবজিতে অভ্যস্ত।

 

ইতিহাসঃকানাডা খাতা কলমে বলতে গেলে ১৮৬৭ সালে আবিষ্কৃত হয়। তবে ইনইউট জাতিরা এখানে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বসবাস করছে।

আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । এছারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনার সুযোগ্য মতামত জানতে ভুলবেন না ।

লেখকঃ নূরই জাবাল হক ইমন

 https://www.facebook.com/priyojanala

আমাদের ফেইসবুক পেইজ- প্রিয়জানালা

 

Back to top button