englishmoviehorror moviemovies

সেরা ১০ টি ভূতের সিনেমার রিভিউ Horror Movies

 ভূতের সিনেমা : হাড় হিম করা সেরা ১০ টি ভূতের সিনেমা : Best Horror Movies

 এই লিস্টের সেরা ১০ টি ভূতের ছবি যেগুলো দেখলে আপনার আত্মাকে কাপিয়ে দিবে । ভূতের ছবি দেখতে আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি । ভূতের ছবি দেখতে গেলে কোন মুভি দেখবো সেটা বাছাই করা অসম্ভব হয়ে পড়ে । এত ছবির মধ্য থেকে কোনটা দেখবো এই প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে । তাই আপনাদের জন্য সর্বকালের অন্যতম সেরা ১০ টি ভূতের ছবি নিয়ে আজকের আয়োজন । আশা করি মুভিগুলো দেখলে আপনি হতাশ হবেন না । পোস্টের মধ্যে সিনেমার কিছু কাহিনী বর্ণনা করার চেষ্টা করবো ।

১০ টি ভূতের সিনেমা - 10 Horror Movies You Should Not Miss
10 Horror Movies You Should Not Miss


 ১০ – দি একসরসিস্ট ( The Exorcist )

দি একসরসিস্ট ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় । মুভিটিকে গণ্য করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হরর মুভি হিসাবে । যখন মুভিটি প্রথম দেখবেন তখনই উপলব্ধি করবেন এটি কেনো সর্বশ্রেষ্ঠ হরর মুভি । মুভিটি ৭০ দশকের হলেও সেই সময়ে অনেক সিনেমা হলে মুভিটি প্রদর্শনীর সময়ে হলের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হতো । কারণ মুভিটির ভয়াবহতা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়তো । কাহিনীতে একটি অশুভ অশরীরী আত্মা একটি কিশোরী মেয়ের উপর ভর করে । তখন মেয়েটির মা দুজন তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য । শেষ পর্যন্ত তারা কি মেয়েটিকে অশুভ আত্মার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন ? উত্তরটি জানতে হলে আপনাদের দেখতে হবে এই অসাধারণ মুভিটি । মুভিটিতে ভীতিকর কিছু দৃশ্য দেখে আপনাদের সত্যিই ভয়ে গা শিউরে উঠবে । উইলিয়াম ফ্রেডকিনের অসাধারণ পরিচালনায় মুভিটি সর্বশ্রেষ্ঠ হরর মুভির মর্যাদা পেয়েছে । এই মুভির ছায়া অবলম্বনেই পরবর্তীতে অনেক মুভি তৈরি হয়েছে ।

দি একসরসিস্ট ( The Exorcist )

০৯- ড্রাগ মি টু হেল ( Drag Me To Hell )

ড্রাগ মি টু হেল ২০০৯ সালে মুক্তি পায় l মুভিটি দেখলে আপনি অসংখ্যবার কেঁপে উঠবেন । মুভিটির অসাধারণ সাউন্ড ইফেক্ট এবং লোমহর্ষক দৃশ্যগুলো দেখে আপনি ভয় নিশ্চিত । ছবিটি পরিচালনা করেন স্যম রাইমি । একজন লোন অফিসার একজন বৃদ্ধাকে যখন তার একমাত্র বসতবাটি ছাড়ার নোটিশ দেয় বৃদ্ধার শত অনুনয় সত্ত্বেও । তখন বৃদ্ধাটি লোন অফিসার মেয়েটিকে ভয়ানক একটি অভিশাপ দেয় । এই অভিশাপ মেয়েটার জীবনটিকে দুর্বিষহ করে তোলে । মেয়েটি অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যা সম্ভব সবকিছুই করে । মেয়েটি তার মুক্তির জন্য যে কর্মকাণ্ড করে সেগুলো দেখলে আপনার শরীর শিউরে উঠবে ।

ড্রাগ মি টু হেল ( Drag Me To Hell )


০৮- হ্যালোউইন ( Helloween )

বাংলার ” ভূত চতুর্দশীতে ” যেমন মা-ঠাকুমারা রাতের বেলা বাইরে বেরোতে মানা করেন তেমনই হ্যালোউইনে ওদেশের মা-ঠাকুমারা ছোটোদের সাবধান করে দেন । কিন্তু কনো লাভ হয় না । ১৯৭৮ সালের হ্যালোউইন ছবি প্রকাশিত হয় । সাতের দশকে এধরনের ছবি আশা করাই যেত না । সিনেমাটি সাতের দশকের হলেও তার প্রেক্ষাপট ছয়ের দশক । এই হ্যালোউইন ছবিতে রাতে ছয় বছরের ছোট মাইকেল তার দিদিকে ছুরি দিয়ে খুন করে । তাকে পাঠানো হয় রিহ্যাবে । বছরের পর বছর সেখানে থেকেও তার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হয় না । মাইকেল কি সত্যিই অপরাধ করতো নাকি কেউ ওকে দিয়ে অপরাধ করাতো ? সেই নিয়েই এগিয়ে চলেছে হ্যালোউইনের গল্প । ছবি দেখতে গেলে বুকের পাটা লাগবে । যারা ভূতের গল্প পছন্দ করেন , তারা একবার হলেও ছবিটি দেখবেন ।

হ্যালোউইন ( Helloween )


০৭- অ্যানাবেল ( Annabelle )

অ্যানাবেল ছবিটির প্রেক্ষাপট ১৯৪০ থেকে ৫০ দশকে । ছবির শুরুর থেকেই একটি অধিভৌতিক আবহ তৈরি করা হয় ছবির কাহিনিকে ঘিরে । দেখা যায় , এক বাড়িতে কয়েক জন অনাথ মেয়েকে পাঠানো হয়েছে । সেই বাড়িতেই অদ্ভুত রকমের আতঙ্কের ঘটনা ঘটছে । আর সবকিছুর নেপথ্যে মেলে সেই পুতুলটি । যে পুতুলটিকে ঘিরে কনজিউরিং সিরিজের বাকি ছবিগুলোর কাহিনি তৈরি হয়েছে । কিন্তু সেই পুতুলের আসল রহস্যের খোঁজ করতে হলে দেখতে হবে এই ছবি । ভালো রকমের রহস্যে ঠাসা ভৌতিক এই কাহিনির পরতে পরতে ব্যবহার করা হয়েছে বেশ কিছু প্রতীক । রঙের নানা ব্যবহারের মাধ্যমেও ছবির ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।

অ্যানাবেল ( Annabelle )


০৬- প্যারানরমাল একটিভিটি ( Paranormal Activity )

প্যারানরমাল একটিভিটি মুভিটি প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে । এই মুভিটি যারা থিয়েটারে দেখেছে তাদের অনেকেই নাকি বেহস হয়ে পরেছিলেন মুভির হাড় হিম করা সাউন্ড ইফেক্ট এর ফলে । অনেকে নাকি পুরো মুভিটি দেখার সাহস পর্যন্ত হয়নি । মুভিটির কাহিনী কিছুটা এমন , কেট এবং মাইক তাদের নতুন কেনা বাড়িতে হঠাৎ কিছু অস্বাভাবিক ঘটনার অনুভব করতে পারে । তাদের সারা বাড়িতে সেট করে রাখা ক্যামেরায় উঠে আসে একের পর এক ভয়াবহ সব ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার । একদিন তার ঘুমন্ত স্বামীর দিকে টানা ২ ঘন্টা তাকিয়ে থাকে এবং তার কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ এক হ্যাঁচকা টানে মাইককে নিয়ে উধাও হয়ে যায় কোন এক অশরীরী আত্মা । এভাবেই কাহিনী চলতে থাকে । 

প্যারানরমাল একটিভিটি ( Paranormal Activity )

০৫- ইন্সিডিয়াস ( Insidious )

ইন্সিডিয়াস হলিউড হরর একটি মুভি । ছবিতে অল্প বয়সের একটি ছেলে যে নাকি কোমা তে চলে যায় । চিকিৎসা বিজ্ঞান এর সব কিছু প্রয়োগ করার পরেও যখন কোন লাভ হয় না । তখন ছেলেটিকে কোমা থেকে ফেরানোর জন্য তার বাবাকে পাঠানো হয় মৃত্যুর দেশে । ছেলেকে কোমা থেকে আনতে সফল হয় তার বাবা । কিন্তু তারপর থেকেই তাদের সাথে ঘটতে থাকে অদ্ভুতুড়ে সব জিনিস । মুভির কোথাও বিরক্ত লাগবে না কারন টুইস্ট আছে যথেষ্ট । যাদের হরর মুভি এবং হররের মধ্যে একটু কাহিনী ভালো থাকুক এমন মুভি ভাল্লাগে তারা দেখতে পারেন নিসন্দেহে । এই মুভিটির কয়েকটি পার্ট রয়েছে ।

ইন্সিডিয়াস ( Insidious )

০৪- দাব্বে ( Dabbe )

দাব্বে একটি হরর টার্কিশ মুভি সিরিজ । দাব্বে মুভি সিরিজের মুখ্য থিম ” আদ-দাব্বাতুল-আরদ ” নামক একটি প্রাণীকে কেন্দ্র করে । এর নামেই সিরিজটির ” দাব্বে ” নামকরণ । সে কিভাবে জ্বীনদের নিয়ন্ত্রণ করে , মানুষের পিছে লাগিয়ে তাদের ক্ষতি করে , কিভাবে মানুষ সামান্য স্বার্থের জন্য নিজেই নিজের ঘাড়ে এই আপদকে ডেকে আনে , এর কারণে কিভাবে মানুষ জ্বীনদের দ্বারা আক্রান্ত হয় , কিভাবে জ্বীন ডাইমেনশনের ক্রিয়েচাররা ভুক্তভোগীর জীবনকে নরকে পরিণত করে এবং তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় , প্রভৃতির স্টোরিটেলিং নিয়েই মূলত দাব্বে সিরিজটি । এই সিরিজের এখন পর্যন্ত ছয়টি পর্ব আছে । ২০০৬ সালে দাব্বের প্রথম ইন্সটলমেন্টের যাত্রা শুরু হয়েছিল ।

দাব্বে ( Dabbe )

০৩- আইটি ( IT )

আইটি মুভি পরিচালনা করেছেন অ্যান্ডি মাসচিট্টি । ২০১৭ সালে মুভিটি মুক্তি পায় । কাহিনীতে একটা শহরের নাম ডেরি । ছোট ছেলে জরজি বৃষ্টির সময় কাগজের নৌকা দিয়ে খেলছিল । পানির গতিতে স্টর্মড্রেনে পড়ে যায় নৌকাটা ।সেটা খুঁজতে সে উঁকি দেয় । সেই মুহূর্তে সে দেখে অদ্ভুত এক ক্লাউন । যার নাম হলো পেনিওয়াইস দ্যা ড্যান্সিং । এরপর জরজিকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি । বিল এর ছোট ভাই জরজি । বিল , বেন , মারশ সবাই মিলে খুঁজতে থাকে জরজি মিসিং হবার রহস্য । ডেরি শহরের পূর্ব ইতিহাস অনুযায়ী ২৭ বছর পর পর বাচ্চারা উধাও হতে থাকে । সেই রহস্য আর কিছু স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের কাহিনী নিয়েই এই মুভি । মুভিটা দেখতে পারেন । মুভিটা আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে ।

আইটি ( IT )

০২- সিনিস্টার ( Sinistar )

সিনিস্টার ২০১২ সালে মুক্তি পায় । ছবিতে দেখা যায় , অপরাধের জায়গায় গিয়ে তদন্ত করে তা নিয়েই লেখালিখি করার অভ্যাস এক ক্রাইম রাইটারের । সেই মতো স্বপরিবারের নতুন এক বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তিনি । এই বাড়ির প্রাক্তন বাসিন্দা এক পরিবার খুন হয়েছিল । এর সেই পরিবারের এক ছোটো সদস্য খুনের পর থেকেই নিঁখোজ । বাড়িতে বসবাসের পর থেকে নানা অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হন লেখন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা । কোনও অদৃশ্য শিশুর হাতে আঁকা নানা ছবি তাঁকে খুনের ক্লু দিতে থাকে । খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে এরকম ঘটনা বহু পরিবারের সঙ্গেই ঘটেছে । পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে খুন হেয়েছেন এবং একটি ছোটো সদস্য নিখোঁজ । অদ্ভুত রহস্যময় পরিস্থিতি কাটিয়ে তার সমাধান করে ফেলেন ক্রাইম রাইটার । গল্পের কাহিনী দর্শককে যেমন বসিয়ে রাখবে তেমন ভয়ও দেখাবে ।

সিনিস্টার ( Sinistar )

০১- টুয়েন্টি-এইট ডেস লেটার ( 28 days later )

ড্যানি বয়েলের নিমার্ণকৃত টুয়েন্টি-এইট ডেস লেটার মুভিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে । মুভিটিতে জিম নামের একটা সাইকেল কুরিয়ার এক্সিডেন্ট করে আইসিউতে ভর্তি হয় । ২৮ দিন পর জ্ঞান ফিরে দেখে হাসপাতালে সে ছাড়া আর কেউ নেই । বাইরে বের হয়ে দেখে রাস্ত- ঘাট সব ফাঁকা । সে নিজেরে রাজা ভাবা শুরু করলেও কিছু বুঝে উঠতে পারছিলো না যে আসলে কি হচ্ছে । একসময় সে একটি লোকের দেখা পায় । লোকটি কথা না বলে তার হাতে কামড় দিতে চালে যায় । ব্যাপারটা সে কিছুই বুঝতে পারছিলো না । এর পড় কাহিনী শুরু হয় এবং বুঝতে পারে যে কোন এক ভাইরাস বাবাজি এসব করছে । জিম নিজেকে বাঁচেয়ে রাখার যুদ্ধ শুরু হয় । সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটা মুভি ।

টুয়েন্টি-এইট ডেস লেটার ( 28 days later )

আজকের আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । এছারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনার সুযোগ্য মতামত জানতে ভুলবেন না ।

 https://www.facebook.com/priyojanala

আমাদের ফেইসবুক পেইজ- প্রিয়জানালা

 
 

Back to top button