আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ১৫ বছর – 15 years of Shakib in international cricket
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
২০০৬ সালের ০৬ আগস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআই ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার।
অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট-বলে সমান অবদান রেখে ক্রিকেট অঙ্গনে নিজের আবির্ভাব জানান দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে খেলেন ৪৯ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস!
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি ওডিআই অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেন সাকিব। মাঝে এক-দুইবার কিছুদিনের জন্য পজিশন হারালেও এখনো তিনি শীর্ষেই আছেন। পাশাপাশি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও তিনি দীর্ঘসময় শীর্ষে ছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণেই একসঙ্গে শীর্ষ অলরাউন্ডার হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৫৮ টেস্ট, ২১৫ ওয়ানডে ও ৮২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশি পোস্টর বয়। টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে ৩৯৩৩ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ২১৫ উইকেট। ওডিআইতে ৯ সেঞ্চুরিতে ৬৬০০ রান ও ২৭৭ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৬৯২ রান ও ৯৮ উইকেটের মালিক সাকিব।
১৫ বছর পরের ৬ আগস্টেও বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে নামেন সাকিব যেখানে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে হারানোর সুযোগ একদম মিস করেন নি। ক্যারিয়ারের ১৫তম বছরে পা দেওয়ার দিনেও তিনি ব্যাট হাতে ২৬ রান করেন ও ৪ ওভার বল করে করে মাত্র ২২ রান দিয়ে তুলে নেন মূল্যবান ১টি উইকেট!
বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনেক সাফল্যের সাক্ষী হয়ে রয়েছেন আগামীর জন্য শুভকামনা রইলো।
আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । এছারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনার সুযোগ্য মতামত জানতে ভুলবেন না ।